গঠনতন্ত্র

শিক্ষা উন্নয়নের সাথে যেহেতু গুনগত পরিবর্তন চেষ্টা ক্রমাগত প্রবৃদ্ধির পরিচায়ক, তেমন কিছু পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের উন্মেষ ঘটাতে আমরা সমবেত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সংগঠিত। সাহায্যের বহির্মূখী গড্ডালিকা স্রোত হ্রাস করে অধিক জনসংখ্যাকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করণে জনগনের নিজস্ব উদ্যোগ, পরিকল্পনা, দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলে স্বনির্ভরতার দিকে এগুতে সহায়তা করাই শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চুড়ান্ত গন্তব্য ও অভিপ্রায় বলে গন্য হবে। বস্ততঃ সরকারী উন্নয়ন প্রচেষ্টা সম্পূরক ও পরিপূরক এবং অন্যান্য বেসরকারী সংগঠনের কর্ম প্রয়াসের সঙ্গে সহযোগীতা ও সমন্বয়ের নীতি মেনে সংগঠন কাজ করে যাবে বলে আমরা আশা রাখি।

ধারা নং – ১

(ক) “ শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন”
(Education Development Foundation)

পরিভাষাঃ

১। শিক্ষা (Education) : আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। মানুষের রয়েছে কিছু মৌলিক অধিকার তার মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা, একটি জাতির উন্নতির চাবিকাঠি হলো-শিক্ষা, দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্য পূরণে শিক্ষাই হচ্ছে প্রধান অবলম্বন।মেধা ও মননে আধুনিক এবং চিন্তা-চেতনায় প্রাগ্রসর একটি সুশিক্ষিত জাতিই একটি দেশকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। তাই শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।

শিক্ষা বলতে বুঝায় প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কিছু কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিকতা, সততা, মূল্যবোধ, জাতীয়তা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করণের মাধ্যমে সমাজের কাংখিত পরিবর্তন আনা। এই পরিবর্তন সব সময় হতে হয় ইতিবাচক। শিক্ষার কাজ হলো- শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করে ইতিবাচক মনোভাবে রুপান্তরিত করা।

শিক্ষার শব্দগত অর্থ: শিক্ষা শব্দের ইংরেজী প্রতিশব্দ Education. শিক্ষাবিদগণের মতে Education কথাটি এসেছে গ্রিক শব্দ Educere-থেকে। যার অর্থ,

   To Bring Up – লালন পালন করা।

   To Nurish – পরিচর্যা করা।

আবার কোন কোন শিক্ষাবিদের মতে- শিক্ষা কথাটি এসেছে গ্রিক শব্দ Education থেকে, যার অর্থ ,

   To Direct – নির্দেশ দান করা।

   To Teach – শিক্ষাদান করা।

কেউ কেউ মনে করেন শিক্ষা কথাটি এসেছে গ্রিক শব্দ Educere-থেকে যার অর্থ,

   To Lead out – নিষ্কাশন করা।

   To Drow out – ভিতর থেকে বের করা।

বাংলা শব্দ শিক্ষা এসেছে সংস্কৃত ধাতু, শাস থেকে শাস্ শব্দের অর্থ -শাসন, নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশ। বর্তমানে শিক্ষার সংজ্ঞায় বলা হয়, শিক্ষা হচ্ছে-জীবনব্যাপী একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার ফসল-জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।

UNESCO- ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বিশে^র সকল জাতির জন্য শিক্ষার সাধারণ উদ্দেশ্য নির্ধারণের জন্য আর্ন্তজাতিক শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ইতিহাসে যা “জ্যাক ভেলর কমিশন” নামে পরিচিত। একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা-চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমগ্র বিশ্ববাসীর নিকট উদ্দেশ্য সমূহ ছিল এক যুগান্তকারী মাইল ফলক।

উদ্দেশ্য গুলি নিম্নরূপঃ

   ক) জানার জন্য শেখা – Learning to learn.

   খ) করার জন্য শেখা -Learning to do.

   গ) একত্রে বসবাসের জন্য শেখা – Learning to live together.

   ঘ) আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য শেখা – Learning to be.

সুতরাং শিক্ষার ধারনা, এবং UNESCO- কর্তৃক গঠিত কমিশনের প্রণীত সমগ্র বিশ^বাসীর জন্য শিক্ষার সাধারণ উদ্দেশ্যের আলোকে প্রতীয়মান হয় যে, শিক্ষার মূলকথা পরিবর্তন কেন পরিবর্তন, কিভাবে পরিবর্তন কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন সেই বিষয়গুলিই শিক্ষার দীর্ঘ পথপরিক্রমা। শিক্ষার এই অগ্রযাত্রায় আমাদের ফাউন্ডেশন অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

২। উন্নয়ণ (Development): উন্নয়ণ বলতে সাধারনতঃ মানব জীবনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সার্বিক অগ্রগতিকে বুঝায়। উন্নয়নকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, সম্পদের সুযোগ-সুবিধা প্রভূতির মান দ্বারা পরিমাপ করা হয়। উন্নয়ণ হলো- কোন দেশ বা সমাজে যদি মুক্ত অর্থনীতির ধারা বিরাজমান থাকে তবেই ঔ দেশের উন্নয়ণ সম্ভব। উন্নয়ণ শব্দের অর্থ হলো- উন্নতি হতে যাচ্ছে এমন অর্থাৎ উন্নয়ন হলো পরিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া- যা বস্তুগত ও মানসিক উভয় ব্যাপার। কোন সমাজ বা দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক, মানসিক, চিন্তাগত ও শিক্ষা-সাংস্কৃতিক অবস্থা সহ সার্বিক পরিবর্তন হওয়াই হলো উন্নয়ণ।

উন্নয়ণের মূল বিষয় হলো- সমাজে এমন পরিবর্তন সাধিত হবে যাতে-জনগণ ক্রমান্বয়ে ব্যাপক পরিধিতে সুযোগ-সুবিধা এবং পছন্দ-অপছন্দের স্বাধীনতা পাবে ও স্বনির্ভর হবে। যদিও দরিদ্র দেশের উন্নয়ণ ও উন্নত দেশের উন্নয়ণের একই অর্থ বহন করে না। এক পক্ষের কাছে উন্নয়ন-আরো বিত্ত আরো বৈভব, আরো বিলাসিতা, আর অপর পক্ষের কাছে উন্নয়নের অর্থ হলো জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরণ, জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি এবং অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও ঈমান, আমল কবরস্থানের নিশ্চয়তা । এদিক থেকে উন্নয়ন সমস্যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা বলে প্রতীয়মান হয়। অতএব, উন্নয়ন প্রত্যয়টি অত্যন্ত জটিল। এর মধ্যে রয়েছে- পরিবর্তনশীলতা ও গতিশীলতা । সুতরাং উন্নয়নের এ ধারণাকে গ্রহন পূর্বক শিক্ষা তথা সামগ্রিক উন্নয়নে আমাদের ফাউন্ডেশন ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হবে বলে আশা করি।

৩। ফাউন্ডেশন (Foundation): ফাউন্ডেশন শব্দের অর্থ ভিত্তি বা বুনিয়াদ। ভিত্তি বা বুনিয়াদ হলো কাঠামোর প্রান যা সর্বনি¤œ স্থান থেকে কাঠামোর সমস্ত ভর/ লোডকে মাটির শক্ত স্থানে স্থানান্তর করে তাকে ফাউন্ডেশন বা বুনিয়াদ বলে। তবে এক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন বলতে আমরা একজন মানুষ/শিক্ষার্থীর শিশু কাল থেকে কর্মজীবন তথা জীবনের প্রতিটি অগ্রযাত্রায় – অর্থপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে, তেমন করে যদি গড়ে তোলা যায় তাহলে তার জীবন-মানের ভিত্তি মজবুত হবে বলে আমরা মনে করি। একটি দালানের যথাপোযুক্ত ভিত্তি বা বুনিয়াদ/ফাউন্ডেশন এর উপরে দাঁড় না করালে কাঠামো যেমন স্থায়িত্ব পাবেনা, তেমনি একজন মানুষ/শিক্ষার্থীর শিশুকাল থেকে শুরু করে যাপীত জীবনের প্রতিটি স্তরে তথা রাজনীতি, প্রশাসন, পরিবার, সমাজ, সবর্ত্র নৈতিকতার ভিত্তি স্বচ্ছ ও দৃঢ় করতে হবে। নতুবা জাতি হিসেবে আমরা কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা যেন জ্ঞানের তৃষ্ণা জাগাতে ব্যর্থ না হয় বরং কিভাবে আরো মৌলিক চিন্তার ক্ষমতা জাগানো যায় সে লক্ষ্যে আমাদের ফাউন্ডেশন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

   খ) পরিভাষা: কাগজে ও রেকর্ড পত্রে সংগঠন কথাটি বাহ্যিক ভাবে উল্লেখ না থাকলেও সংগঠন বলতে “শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে” বুঝাবে। অধ্যাদেশ বলতে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী নিবন্ধকরণ অধ্যাদেশ ১৯৬১ ও ১৯৭৮ বুঝাবে এবং আইন ও নিয়মাবলী বলতে বুঝাবে “শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন” এর কার্যকরী কমিটি ও সাধারণ পরিষদ কতৃক প্রণীত নিয়মাবলি কার্যবর্ষ বলতে ফাউন্ডেশনের কার্যবর্ষ ( জুলাই-জুন) বুঝাবে এবং কর্তৃপক্ষ বলতে ফাউন্ডেশনের কার্যকরী পরিষদকে বুঝাবে।

   গ) ফাউন্ডেশনের স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম-দয়ারাপুর, ডাকঘর-দয়ারামপুর, উপজেলা- বাগাতিপাড়া,জেলা- নাটোর।

  ঘ) ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম-দয়ারামপুর (বকুল কনভেনশন হল), ডাকঘর- দয়ারামপুর, উপজেলা- বাগাতিপাড়া, জেলা- নাটোর।

   ঙ) ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠার তারিখ : ১লা এপ্রিল ২০১৯ খ্রি:।

  চ) কর্ম এলাকা : প্রাথমিকভাবে নাটোর জেলা, তবে ভবিষ্যতে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এর পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে দেশ/বিদেশের যেকোন স্থানে প্রকল্প/শাখা/দপ্তর খোলা যাবে।

ধারা নং – ২

ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

(১) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের মাধ্যমে দেশাত্ববোধ ও জাতীয় ঐক্য বিকাশের উপর গুরুত্বারোপ।

(২) সমাজের দুঃস্থ, দরিদ্র, অসহায় মানুষের সন্তানদের ও প্রতিবন্ধী শিশু/ কিশোরদের শিক্ষার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক, মানবিক ও নৈতিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ সমাজ পরিবর্তনে সহায়তা করা।

(৩) সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজ, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, মাদকমুক্ত রাখার জন্য জনসচেতনতা গড়ে তোলা।

(৪) “সুস্থ্য দেহে সুস্থ্য মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীবন”- এ প্রতিপাদ্য অনুসরণ পূর্বক শারীরিক, দৈহিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ্য থাকার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ।

(৫) শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় গুরুত্বারোপ। গ্রন্থাগার সমৃদ্ধ করণে সহায়তা প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীর কাজে আগ্রহ/দক্ষতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তব্য রিডিং/ রাইটিং/ অংকন/ শৈল্পীক বাচনভঙ্গী ও বানান শুদ্ধি করনের উপর গুরুত্ব আরোপ পূর্বক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

(৬) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে ফুলের বাগান, বৃক্ষ রোপন ও সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণে শিক্ষক/ শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করন এবং পরিবেশ দুষন তথা বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, পানি দূষণ, মাটির ক্ষয় রোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

(৭) সকল প্রকার নেশা জাতীয়- মাদক দ্রব্য বর্জনে জন সচেতনতামুলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল বিরোধী এবং ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপামর জনতাকে সচেতন করা।

(৮) গ্রামে গ্রামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে নৈশকালীন বয়স্ক শিক্ষার মাধ্যমে নিরক্ষরতা ও প্রামান্য চিত্রসহ ম্যাগাজিন প্রকাশনা ও মুদ্রণে পাদক্ষেপ গ্রহণ, তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা বা সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রতিটি বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ করনে সহায়তা করা।

(৯) সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিনির্বাপন ও আত্ম হননের ন্যায় কৃত্রিম ও বজ্রপাত, ভূমিকম্প বিদ্যুৎপৃষ্ঠ, জলোচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় জন সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং স্টম অপারেটিং প্লানিং কমিটি (ঝঙচ) গঠন করে দূর্যোগ পূর্ব ও দূর্যোগ পরবর্তী তাৎক্ষণিক কার্যক্রম গ্রহণ করন।

(১০) হত দরিদ্র, অসহায় মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও পুরস্কৃত করণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী ও উচ্চ শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে সৎ, যোগ্য মেধাবী ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করা। অর্থাৎ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার দক্ষতায় এ দেশের নাগরিকদের প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়া।

পরিশেষে বলা যায়, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সমগ্রিক কল্যান সাধনের জন্য শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব পালন করা সমুচিত। ব্যক্তিগত সমষ্টিগত উদ্যোগ এবং সমন্বিত অংশ গ্রহনের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম সংকট অনেকাংশেই মোকাবেলা করা সম্ভব। আর সে লক্ষ্য পুরনের জন্যই এ সংগঠন সর্বদাই প্রস্তুত।

ধারা নং – ৩

সদস্য পদ বিভাগঃ

১। সাধারণ সদস্য

২। কার্যকরী সদস্য

৩। দাতা ও পৃষ্ঠপোষক সদস্য

সদস্যপদ সংক্রান্ত নিয়মাবলীঃ

১। সাধারণ সদস্যঃ

   ক) সংগঠনের কর্মসূচী ও সাংবিধানিক নীতিমালা মেনে নিয়ে যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশী পুরুষ/মহিলা সংস্থার প্রাথমিক/সাধারন সদস্য হতে পারবেন।

    খ) সংগঠনের নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে হবে।

    গ) ভর্তি ফ্রি ১০০০/টাকা এবং মাসিক চাঁদার হার ১০০/ টাকা।

   ঘ) সংগঠনের প্রণীত নিয়মে সরাসরি আবেদন অথবা অনলাইনে আবেদন এবং ভর্তি ফি, বাৎসরিক চাঁদা প্রদান এবং যে কোন অনুদান চেক/বিকাশ/ব্যাংক হিসাব নম্বরে পরিশোধ করতে পারবে। এবং বছরে অন্ততঃপক্ষে ১টি সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকতে হবে।

    ঙ) আবেদনকারীকে সদস্য/সদস্যা পদ প্রদানের সর্বপ্রকার সিদ্ধান্ত কার্যকরী পরিষদের।

    চ) সাধারণ সদস্যগণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যকরী পরিষদ গঠন করবেন।

ধারা নং-৪

সদস্যপদ বাতিল বা সাময়িক স্থগতি করণঃ

১। সদস্যপদ বাতিলঃ

   ক) সদস্যদের একটানা ১ বছরের চাঁদা বাঁকী পড়লে।

   খ) পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে।

   গ) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থি এবং নিয়ম শৃংখলাভঙ্গ করলে।

   ঘ) সংগঠনের পক্ষে অকল্যান জনক এবং ক্ষতিকর কোন কাজ করলে।

   ঙ) মৃত্যু হলে অথবা মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে অথবা আর্থিক অসংগতি দেখা দিলে অথবা আদালত কতৃক সাজাপ্রাপ্ত হলে।

   চ) সংগঠনে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে অথবা রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত কিংবা ষড়যন্ত্রে নিযুক্ত হলে।

    ছ) কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে এবং কার্যকরী পরিষদ কতৃক অনুমোদিত হলে।

২। সদস্যপদে পুনঃ বহালঃ

সাময়িকবহিঃস্কার অথবা বাতিলগত সদস্যপদ পুনরুদ্ধার বা নবায়নের ব্যাপারে কোন আপত্তি/ অভিযোগ/আপীল/ আত্মপক্ষ সমর্থন/মূলক আবেদন প্রথমতঃ সংগঠনের কার্যকরী পরিষদে দাখিল করা যাবে। কার্যকরী পরিষদ ব্যর্থ হলে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ধারা নং-৫

সংগঠনের ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোঃ

তিন পরিষদ সমন্বয়ে গঠিত হবে।

১। সাধারণ পরিষদঃ সকল প্রাথমিক সভ্যই উক্ত পরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হবে।

২। কার্যকরী পরিষদঃ ১১ (এগার) জন।

৩। উপদেষ্টা পরিষদঃ ১৫ (পনের) জন। প্রয়োজন সংখ্যা কম বেশি করা যাবে।

গঠন ও কার্যাবলিঃ

১। সাধারণ পরিষদঃ

   ক) সকল প্রাথমিক সদস্য নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হবে।

   খ) কার্যকরী পরিষদ নির্বাচিত করা।

   গ) সংবিধান সংশোধণ, পরিবর্তন. সংযোজন ও বিয়োজন করা।

   ঘ) বার্ষিক আয়-ব্যয় ও বাজেট অনুমোদন।

  ঙ) কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে সংস্থার যাবতীয় স্বার্থ, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও প্রশাসনিক পরিচালক এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ।

   চ) জটিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনে কার্যকরী পরিষদকে সাহায্য করা।

   ছ) বছরে কমপক্ষে ০১(এক) টি সভা করা।

   জ) সাধারণ পরিষদের নির্বাচনের ভিত্তিতে ০১ (এক) জন সভাপতি থাকবে।

২। কার্যকরী পরিষদঃ

  ক) কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবে সাধারণ পরিষদ কর্তৃক সরাসরি ভোটে অথবা প্রস্তাব/সমর্থন/মনোনয়নের মাধ্যমে।

    খ) কার্যকরী পরিষদের সদস্য সংখ্যা হবে ১১ (এগার) জন।

    গ) কার্যকরী হবে ০২ (দুই) বৎসর মেয়াদী।

৩। উপদেষ্টা পরিষদঃ

   ক) সাধারণ পরিষদ ও কার্যকরী পরিষদের প্রস্তাব/সমর্থন/ মনোয়নের মাধ্যমে/ গঠিত হবে।

   খ) কার্যকরী পরিষদকে নীতি নির্ধারণী কাজে পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করা।

   গ) কার্যকাল হবে ০২ (দুই) বৎসর মেয়াদী।

ধারা নং-৬

কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালাঃ

ক) সংস্থা পরিচালনার জন্য প্রতি ০২(দুই) বছরের জন্য একটি কার্যকরী পরিষদ সংস্থার সাধারণ সদস্য/সদস্যাদের ভোটে/মনোনয়নের মাধ্যমে সমর্থনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।

খ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ও এতদঃসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় শর্তাবলী সময় স্থান কার্যকরী পরিষদের সভায় ধার্য্য করা হবে।

গ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্ধারিত দিনের কমপক্ষে ০১(এক) মাস আগে নির্বাচনের দিনক্ষন ঘোষনা করতে হবে।

ঘ) ভোটার তালিকা প্রকাশের ০৩(তিন) দিনের মধ্যে আপীল করা যাবে।

ঙ) আপীলের পর কার্যকরী পরিষদ চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে এবং এক কপি নির্বাচন কমিটির নিকট দাখিল করবে।

চ) কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনার জন্য একজন নির্বাচন কমিশনার ও অপর দুইজন সদস্য সমন্বয়ে নির্বাচন কমিটি গঠিত হবে।

ছ) নির্বাচনের তারিখের কমপক্ষে ০১(এক) মাস আগে সংস্থার বৈধ সদস্য/সদস্যাদের তালিকা প্রনয়ন করে সম্পাদক নিজ দায়িত্বে নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেবেন যা ভোটার তালিকা হিসেবে বিবেচিত হবে।

জ) নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য রেজিষ্টেশন সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্ততঃপক্ষে ০১(এক) জন প্রতিনিধি উপস্থিতি থাকবেন।

ঝ) নির্বাচনের ১৫(পনের) দিন পূর্বে লিখিত মনোনয়নপত্রের মাধ্যমে অথবা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বে ০১(এক) জন বৈধ সাধারণ সদস্যের সমর্থনে যে কোন সদস্য/সদস্য কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন।

ঞ) সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত ০৬(ছয়) জন কার্যকরী পরিষদ সদস্যের পদ বন্টন সরাসরি সাধারণ পরিষদেই নির্ধারিত হবে।

ট) প্রার্থীদের জামানতঃ

১। সভাপতি পদের জন্য: ১০০০/(একহাজার) টাকা
২। সহ-সভাপতি পদের জন্য: ৯০০/(নয়শত) টাকা
৩। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য: ৮০০/(আটশত) টাকা
৪। সহঃ সাঃ সম্পাদক পদের জন্য: ৭০০/ (সাতশত) টাকা
৫। অর্থ-সম্পাদক পদের জন্য: ৬০০/(ছয়শত) টাকা
৬। শিক্ষা উন্নয়ন সম্পাদক পদের জন্য: ৫০০/(পাঁচশত) টাকা
৭। প্রচার সম্পাদক পদের জন্য: ৪৫০/ (চারশতপঞ্চাশ) টাকা
৮। সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য: ৩৫০/(তিনশতপঞ্চাশ) টাকা
৯। সদস্য পদের জন্য: ৩০০/(তিনশত) টাকা

ঢ়) কার্যকরী পরিষদের কর্মপরিধিঃ

ক) সংবিধান অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা করা।
খ) সংগঠন/ফাউন্ডেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে যাবতীয় কাজের জন্য দায়ী থাকবেন।
গ) সংগঠনের প্রয়োজনে যেকোন উন্নয়ন/সেবা মূলক প্রকল্প গ্রহন করা।
ঘ) নতুন সদস্য ভর্তি বহিস্কার সহ যেকোন পদের সৃষ্টি ও সৃষ্ট পদে লোক/কর্মচারী নিয়োগও নিয়োগ অনুমোদন বাতিল, সাময়িক ও পদোন্নতি এখতিয়ার ভুক্ত।
ঙ) পরিকল্পনা গ্রহন, বাজেট প্রণয়ন , বাস্তবায়ণ, হিসাব নিরীক্ষণ ও কার্যাদি মূল্যায়ন।
চ) কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য কমিটি, বিভিন্ন সাব-কমিটি গঠনও কমিটি অনুমোদন।
ছ) বার্ষিক/ত্রৈমাসিক/মাসিক খরচাদি মঞ্জুরি দান।
জ) ফাউন্ডেশনের স্বার্থে বিভিন্ন তহবিল সংগ্রহ, মূলধন গঠন, ব্যয়ের খাত নির্ধারণ, প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনা এবং সার্বিক দায় দায়িত্ব পালন।
ঝ) সংবিধানের ধারায় যার ব্যাখ্যা বা সুরাহা নাই তার ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
ঞ) প্রতি ০৩(তিন) মাসে কমপক্ষে ০১(এক) টি সভা করা প্রয়োজনে যে কোন অতিরিক্ত বৈঠক করা।
ট) সংগঠনের/ফাউন্ডেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও কর্মকান্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে নির্বাহী প্রধান হিসেবে স্থায়ী ভাবে ০১(এক) জন পরিচালক নিয়োগ করা ও তাকে সহযোগিতা করা।

৩। কার্যকরী পরিষদ সংক্রান্ত নিয়মাবলীঃ

ক) কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাগনঃ

১। সভাপতি: ০১ জন
২। সহ-সভাপতি: ০১ জন
৩। সাধারণ সম্পাদক: ০১ জন
৪। সহঃ সম্পাদক : ০১ জন
৫। অর্থ-সম্পাদক: ০১ জন
৬। শিক্ষা উন্নয়ন সম্পাদক: ০১ জন
৭। প্রচার সম্পাদক: ০১ জন
৮। সাংগঠনিক সম্পাদক: ০১ জন
৯। সদস্য : ০৩ জন

খ) কার্যকরী পরিষদের কার্যকালঃ

১। কার্যকরী পরিষদের কার্যকাল হবে ০২ (দই) বছর ।
২। অনিবার্য কারণে নির্ধারিত ০২ (দুই) বছর পূর্তির মধ্যে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব না হলে সাধারন পরিষদ জরুরী সভা আহবান করবে।
৩। জরুরী সভায় কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ অনধিক ০১(এক) বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
৪। উক্ত বর্ধিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কার্য অবশ্যই সম্পাদন করতে হবে।

ধারা নং-৭

কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাগনের ক্ষমতা ও কার্যাবলীঃ

১। সভাপতিঃ

ক) তিনি সংগঠনের নিয়ম তান্ত্রিক প্রধান।
খ) তিনি সাধারণ ও কার্যকরী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন বা তার মনোনীত সহ-সভাপতিদকে নিয়ে সভার নেতৃত্বের কাজ সম্পন্ন করবেন।
গ) অনুরূপ সভাপতি নিজে বা মনোনিত সহ-সভাপতির দ্বারাসকল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।
ঘ) সভায় উপস্থিত অধিকাংশ সদস্য/সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।
ঙ) তিনি বা তার মনোনীত সভাপতির দ্বারা মাসিক ও বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে চুড়ান্ত অনুমোদন দিবেন।
চ) সভাপতি/অর্থ-সম্পাদক সংগঠনের তহবিল পরিচালনায় চেক স্বাক্ষর করতে পারবেন।
ছ) কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের বেলায় পক্ষে-বিপক্ষে ভোট সমান হলে তিনি সিদ্ধান্তমূলক ভোট প্রদান করতে পারবেন।
জ) সংগঠনের/ফাউন্ডেশনের স্বার্থে কোন কর্মকতা কর্মচারী,স্বেচ্ছাসেবী, তথ্য সংশ্লিষ্ট লোকজনের পদোন্নতি, শাস্তি, জরিমানা, পুরস্কৃতকরা, সাময়িক বরখাস্ত, বদলী, বেতন বন্ধের ব্যবস্থাসহ আইনগত যেকোন পদক্ষেপ গ্রহনে সুপারিশ করতে পারবেন।

২। সহ-সভাপতিঃ

সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া সভাপতির নির্দেশক্রমে যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করবেন।

৩। সাধারণ সম্পাদক :

ক) সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করবেন।
খ) সাধারণ ও কার্যকরী পরিষদের সভা আহ্বান এবং পরিচালনা করবেন।
গ) সভার কার্যবিবরণীকরণ, আয়-ব্যয়ের হিসাব, আর্থিক লেনদেন ও হিসাব প্রদান এবং, খরচাদির বিবরণ সংরক্ষন ও দাখিল করা।
ঘ) সংগঠনের নিজস্ব তহবিল, প্রকল্প তহবিল পরিচালনায় চেক স্বাক্ষর/ব্যাংক সিগনেচারী থাকবেন।
ঙ) সংগঠনের যাবতীয় রেকর্ড দাখিল, সংরক্ষন ্এবং সকল সম্পদের তত্ত্বাধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
চ) সংস্থার অর্থ/ সম্পত্তি ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা অর্থ জমা দেয়া ও উত্তোলন, রশিদ প্রদান ও সর্বপ্রকার লেনদেন তার এখতিয়ার ভুক্ত।
ছ) সংগঠনের প্রয়োজনে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের আশ্রয় নিতে পারবেন।
জ) তার সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন লাগবে।
ঝ) সংগঠনের স্বার্থে যেকোন কর্মকর্তা,কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবী, তথ্য সংশ্লিষ্ট লোকজনের পদোন্নতি , শাস্তি, জরিমানা, পুরস্কৃত করা, সাময়িক বরখাস্ত, বদলী, বেতন বন্ধের ব্যবস্থাসহ আইনমুলক যেকোন পদক্ষেপ গ্রহনে সুপারিশ করতে পারবেন।

৪। সহ-সাধারণ সম্পাদকঃ

সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে, সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন এ ছাড়াও সম্পাদকের নির্দেশক্রমে যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন করবেন।

৫। অর্থ-সম্পাদক/কোষাধ্যক্ষঃ

ক) তিনি নিজে বা কর্মচারীর মাধ্যমে সংগঠনের আর্থিক হিসাব সংরক্ষন করবেন।

খ) তিনি সংগঠনের তহবিল,দান, অনুদানগ্রহন এবং বিভিন্ন হিসাব প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করবেন।
গ) তিনি সংগঠনের আর্থিক দিকে সম্পাদক/সভাপতির সাথে যৌথভাবে অংশ নিবেন এবং তহবিল পরিচালনায় চেক স্বাক্ষর/ব্যাংক সিগনেচারী থাকবেন।
ঘ) বার্ষিক সাধারণ সভায় আর্থিক প্রতিবেদন ও অডিট রির্পোট প্রেরন করবেন। সকল ক্ষেত্রে সম্পাদকের সাহায্য নিতে পারবেন।

৬। সদস্য/ সদস্যাঃ

ক) তারা কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের সক্রিয় গঠিন মূলক ভুমিকা পালন করবেন।
খ) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কোন অনাস্থা উপস্থাপিত হলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। তবে সাধারণ পরিষদে আপিল করতে পারবেন।

৭। সভা অনুষ্ঠানের নিয়মাবলিঃ

১। সাধারণ সভা ও জরুরী সভাঃ

ক) সাধারণ পরিষদের সভা বছরে ০১ বার হবে।
খ) প্রয়োজনে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
গ) প্রয়োজনে জরুরী সাধারণ সভা ডাকা যেতে পারে।

২। কার্যকরী পরিষদের সভাঃ

ক) ০৩ মাস অন্তর একবার হবে।
খ) বছরে ৪টি সভা হবে।
গ) প্রয়োজনে বেশি সভা হতে পারে।

৮। নির্বাচনঃ

ক) প্রতি ০২ বছর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খ) নির্বাচনের ২৫ দিন পূর্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
গ) ঘোষনার অব্যবহিত পরেই সভাপতি কর্তৃক কার্যকরী পরিষদ বিলুপ্ত হবে।
ঘ) কার্যকরী পরিষদ বাতিল ঘোষণার দিন হতে পরিচালক নির্বাচন কমিশনার হিসাবে এবং অস্থায়ী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।

ধারা নং-৮

অঙ্গসংগঠন ও ব্যবস্থাপনাঃ

ক) সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শের সাথে সংগতি রেখে উপকারভোগীদের অঙ্গসংগঠন/ক্ষুদ্র সমিতি/দল গঠন করা যাবে।

খ) গ্রামে গ্রামে পাঠাগার, অসহায় দরিদ্র মেধাবীদের নিয়ে অঙ্গ সংগঠন, শিক্ষার উন্নয়নে, আদর্শ-গ্রাম বিনির্মানে অঙ্গ সংগঠন করা যাবে।

গ) সংগঠনগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সংগঠনের সাংবিধানিক আওতায় পৃথক গ্রুপ রুলস তৈরী করা যাবে।

ঘ) অঙ্গ সংগঠনগুলোর পরিচালনা ও উন্নয়নের যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা প্রনয়ণ করবে সংগঠনের কার্যকরী পরিষদ এবং সে সব অনুমোদন ও কার্যকরী করা উক্ত পরিষদের আওতাধীন।

ধারা নং-৯

আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাঃ

ক) তহবিল গঠনঃ

সদস্যদের ভর্তি ফি, মাসিক চাঁদা, এককালীন দান, জাতীয়, আন্তর্জাতিক ব বিদেশী, সরকারী, বেসরকারী দাতা সংস্থাসমুহের অনুদান, ব্যাংক সুদ, সার্ভিস চার্জ, আয়মূলক প্রকল্প অর্জিত আয়, অর্থকরী প্রকল্পের এবং উৎপাদিত দ্রব্যাদির বিক্রয়লব্ধ টাকা দিয়ে সংগঠনের তহবিল গড়ে তোলা হবে।

খ) তহবিল পরিচালনাঃ

০১। সংগঠনের যাবতীয় অর্থ সরকার অনুমোদিত যেকোন সিডিউল ব্যাংকে কার্য এলাকার মধ্যে সংগঠনের নামে হিসাব খুলে জমা রাখতে হবে। সংগঠনের যেকোন হিসাব পরিচালনায় সংগঠনের সভাপতি/সম্পাদক/অর্থ-সম্পদের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উঠানো যাবে।

০২। সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রকল্পের তহবিল ব্যাংকে হিসাব খুলে গচ্ছিত রাখতে ও তুলতে হবে। এক্ষেত্রে সভাপতি, সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক এবং কার্যকরী পরিষদের মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে যেকোন ০২ (দুই) জনের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা যাবে। তবে সংগঠনের নিত্য প্রয়োজনীয় কার্যাবলী সম্পাদনে ৩০০০ টাকার বেশী হস্তে মজুদ রাখা যাবেনা।

গ) হিসাব নিরীক্ষাঃ

সংগঠনের হিসাব নিকাশ সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিরীক্ষণ করা যাবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা নিয়োজিত নিরীক্ষক দ্বারাও নিরীক্ষা করানো যাবে। প্রয়োজনে সংগঠনের কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত ও সরকার অনুমোদিত স্এি ফার্ম দ্বারা হিসাব-নিরীক্ষা করা যাবে। তবে নিরীক্ষা কর্মে যে অডিট ফি লাগবে বা এতদঃ সংক্রান্ত খরচ হবে তা সংগঠনের তহবিল হতে দেয়া যাবে।

ধারা নং-১০

আয় ও ব্যয় অনুমোদনের নিয়মঃ

ক) সংগঠনের যাবতীয় ব্যয় বাজেটের সাথে সংগতি রেখে করা যাবে।

খ) কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত খাতে সংগঠনের অর্থ ব্যয় করা যাবে।

গ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোন প্রকল্পের দাতা কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মোতাবেকও ব্যয়ের খাত নির্ধারিত হতে পারে।

ধারা নং-১১

বিলুপ্তিঃ

যদি কোন সুনির্র্দিষ্ট কারণে সংস্থার সাধারণ পরিষদের মোট সদস্যের ৩/৫ (পাঁচ ভাগের তিন ভাগ) সদস্য এর বিলুপ্ত চান তবে যথা নিয়মে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে। সংস্থার বিলুপ্তির বিষয়টি নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ চুড়ান্ত করবেন। এ প্রেক্ষিতে উক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে অত্র সংস্থার সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ একই ধরনের সক্রিয় অন্যকোন সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা যাবে। এ বিষয়ে জটিল যেকোন পরিস্থিতিতে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ধারা নং-১২

গঠনতন্ত্রের কোন সংশোধন/সংযোজন/বিয়োজন/পরিবর্তন/পরিবর্ধন করার জন্য সাধারণ পরিষদের ২/৩ অংশ সদস্যের সমর্থন করতে হবে এবং নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট তা অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে হবে। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পরই তা কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।

ধারা নং-১৩

০১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সংগঠনের আর্থিক বছর ধরা হবে।

০১ থেকে ……. পাতা পর্যন্ত এ গঠনতন্ত্রটি……..থ্রি. তারিখের সাধারণ সভায় অনুমোদন লাভ করেছে।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক

প্রধান পৃষ্ঠপোষক

জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান

জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, যুগ্ম সচিব হিসেবে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চুক্তিভিত্তিক) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯১ সালে বিসিএস ইকনোমিক ক্যাডারের ১০ ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা…

সভাপতি

জনাব মোহাম্মদ আবু হানিফ

ইঞ্জিনিয়ার  মোঃ আবু হানিফ মিয়া, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন মিলিটারি ইন্ঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস (এম ই এস) ডিপার্টমেন্টে সহকারী প্রকৌশলী বি/আর (এজিই)হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন।তিনি ইন্জিনিয়ার ইনষ্টিটিউট হতে ১৯৯৫ সনে-এ এম আই ই ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৮ সনে ডিপার্টমেন্টাল প্রমশন পরীক্ষা (পি-৯)পাশ করেন।১৯৯২ সনে (এসডিও বি/আর)এস এস এ ই হিসাবে…

জাতীয় সংগীত

জরুরী হটলাইন